ধর্মতলায় একদিকে যখন আরজি করের বিচারের দাবিতে বামেদের আন্দোলন চলছে, ঠিক সেই সময়েই কংগ্রেসের ধরনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছিল প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বক্তৃতার একবারে শেষ লগ্নে নিজের বক্তব্য শুরু করেন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এই সদস্য।
প্রদেশ নেতৃত্বে পালাবদলের পর এখনই নতুন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বামেদের সঙ্গে জোট এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অধীরের পক্ষে সুযোগ না থাকলেও পাশেই মীনাক্ষীদের বাম মঞ্চকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে দেখা গেল অধীরকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর তরফ থেকে বাম-কং জোটের উষ্ণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
মঞ্চ থেকেই অধীর বলেন, ‘আন্দোলনের নেত্রী মীনাক্ষী পাশের মঞ্চে রয়েছেন। তাদের কর্মীরা এসেছেন। তাদের অভিনন্দন জানাই। উভয়ের আন্দোলনের বক্তব্য এক, ধরন হয়তো আলাদা। উদ্দেশ্যও এক।’ প্রসঙ্গত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভঙ্কর সরকার। এদিনের ধরনা মঞ্চ থেকে তিনি বিজেপির সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তোলেন।
তবে এদিনের অধীরের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, দিল্লি ‘নরমপন্থী’ শুভঙ্কর সরকারকে সভাপতি করলেও অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা সুর চড়িয়ে যাবেন। আর সেই কারণেই অধীর চৌধুরী স্বাস্থ্য আর পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবিও করেন। বলেন, ‘সিবিআইকে বলব পুলিশ মন্ত্রীকে যেন ছেড়ে দেওয়া না হয়। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। তিনি কী কারণে বলেছিলেন ৭ দিনে সব গ্রেফতার করে তদন্ত শেষ করে দেব। পুলিশ এই স্বাস্থ্য দুই তাঁর দফতর। নৈতিক কারণে তাঁর পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।’