দিল্লির দখল নিতে চলেছে বিজেপি, ইঙ্গিত বুথ ফেরৎ সমীক্ষায়

রাজধানী দিল্লি এবার কার দখলে থাকবে, তাতে বেশিরভাগ পরিসংখ্যানই বলছে, ২৭ বছর পর বিজেপির বিজয় নিশান উড়তে চলেছে দেশের রাজধানীতে। দিল্লিতে ভোটের ফল প্রকাশ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।

২০১৪ সাল থেকে দিল্লিতে ক্ষমতায় আম আদমি পার্টি (আপ)। লোকসভা নির্বাচনের ফল যাই হোক, বিধানসভা নির্বাচনে আপকেই ‘পহলে’ রেখেছে দিল্লিবাসী। ১১ বছর পর কি আর ‘পহলে আপ’ থাকছে না? কী বলছে বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষা? ২৬ বছর পর কি বিজেপি কি দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরবে? কংগ্রেসের আশাই বা কতটা?

দিল্লিতে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০। বুধবার একদফায় ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৮ শতাংশ। চূড়ান্ত ভোটদানের হার সামনে এলে তা সামান্য বাড়তে পারে। দিল্লিতে ভোটগ্রহণ শেষ হতেই বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষা সামনে আসছে। দিল্লিতে সরকার গড়তে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় বলছে, সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় সংখ্যা পেরিয়ে যাবে বিজেপি। আর ১১ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছে আপ। কংগ্রেসকে কোনও বুথফেরত সমীক্ষাই বেশি আসন দেয়নি।

বুথফেরত সমীক্ষার ফল সবসময় যে মেলে, তা নয়। এটা নির্বাচনী ফলাফলের আভাস দেয় মাত্র। তাও একবার চোখ বুলিয়ে দেখা যাক, বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় কোন দল কত আসন পেতে পারে-

ম্যাট্রিজের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসন। সেখানে আপ পেতে পারে ৩২ থেকে ৩৭টি আসন। কংগ্রেস সর্বোচ্চ একটি আসন পেতে পারে।

পিপলস পালসের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি ৫১ থেকে ৬০টি আসন পেতে পারে। সেখানে আপের ঝুলিতে যেতে পারে ১০ থেকে ১৯টি আসন। কংগ্রেসকে কোনও আসন দেয়নি পিপলস পালস।

চাণক্য স্ট্র্যাটেজিসের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন পেতে পারে। আর আপ সেখানে পেতে পারে ২৫ থেকে ২৮টি আসন। কংগ্রেসকে ২ থেকে ৩টি আসন দিয়েছে তারা।

পিপলস ইনসাইটের বুথফেরত সমীক্ষায় আপকে ২৫ থেকে ২৯টি আসন দেওয়া হয়েছে। বিজেপি পেতে পারে ৪০ থেকে ৪৪টি আসন। আর কংগ্রেস সর্বোচ্চ ১টি আসন পেতে পারে।

পোল ডায়েরির বুথফেরত সমীক্ষা অনুসারে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। তাদের সমীক্ষায় বিজেপি ৪২ থেকে ৫০টি আসন পেতে পারে। আপ পেতে পারে ১৮ থেকে ২৫টি আসন। আর কংগ্রেস সর্বোচ্চ ২টি আসন পেতে পারে।

তবে উইপ্রেসাইড ও মাইন্ড ব্রিঙ্ক তাদের বুথফেরত সমীক্ষায় আপকে এগিয়ে রেখেছে। উইপ্রেসাইড বলছে, আপ পেতে পারে ৪৬ থেকে ৫২টি আসন। আর বিজেপি পেতে পারে ১৮ থেকে ২৩টি আসন। কংগ্রেস সর্বোচ্চ একটি আসন পেতে পারে।

মাইন্ড ব্রিঙ্কের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, আপ পেতে পারে ৪৪ থেকে ৪৯টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২১ থেকে ২৫টি আসন। আর কংগ্রেস সর্বোচ্চ একটি আসন পেতে পারে।

২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আপ পেয়েছিল ৬২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন। এবার নির্বাচনী প্রচারে আপের বিরুদ্ধে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় সরব হয়েছিল বিজেপি। এমনকি, অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবন শিশমহল নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারের নির্বাচনে আপের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কংগ্রেস। বুথফেরত সমীক্ষার ফল মিলবে কি না, তার জন্য আরও তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা। ততদিন শুধুই অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 5 =