প্রতিবাদীদের পাশে আমজনতা

দেড় দিন হতে চলল। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়ে রাস্তায় বসেই রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য, যতক্ষণ না পাঁচ দফা দাবি পূরণ করবে রাজ্য সরকার ততদিন এই আন্দোলন চলবে। তবে রাতের অন্ধকার ঘুচতেই দেখা গেল কয়েকজন বয়স্ক মহিলার হাতে চায়ের কেটলি আর শুকনো খাবার নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন ধর্নায়। এর আগে যেদিন লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, সেই সময়ও নজরে এসেছিল একই ছবি। সবারই একই দাবি, তিলোত্তমার ন্যায় বিচার চান তাঁরা। সেই কারণে চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁরা। হাতে জলের বোতল, শুকনো খাবার তুলে দিয়েছেন চিকিৎসকদের হাতে। এমনকী, মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিজেদের বাড়ির শৌচালয়ও খুলে দিয়েছেন।

আজও জায়গাটা ভিন্ন হলেও ছবিটা বদলায়নি এতোটুকুও। এতেই স্পষ্ট যে মানুষের আবেগ যে কমছে না। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, রাত জাগা আন্দোলনকারীদের ঘুম ভাঙিয়ে নিজেদের সন্তান স্নেহে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে চায়ের কাপ। কোনও রকম রাজনীতির পতাকা ছাড়াই তাঁরা চলে এসেছেন মানবিকতার খাতিরে চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাছে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে চলে এসেছেন প্রবীণ নাগরিকরদেরও কেউ কেউ। তাঁরা কেউ থাকেন টালিগঞ্জ, কেউ বা গড়িয়ায়। এঁরাও জানাচ্ছেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার চাই।’ কারও আবার বক্তব্য, চিকিৎসকরাই মানুষের প্রাণ বাঁচান। আর তাঁদের পাশে থাকতে পেরে তাঁরা ধন্য। আন্দোলনকারীরা বলছেন সাধারণ মানুষের এইভাবে সব সময় তাদের পাশে থাকাটা কোন রাজনীতি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − five =