বর্ষাকাল আসতেই ত্বকের নানা সমস্যার সঙ্গে শুরু হয় চুল পড়া। সামান্য টান লাগলেই উঠে আসে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলেও যেন সুরাহা মেলে না। আবহাওয়া পরিবর্তনে চুলেও প্রভাব পড়তে দেখা যায়। আসলে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাতেও হেরফের হয়। ফলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। ত্বক এবং চুলেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। এছাড়াও, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রাতেও হেরফের হয়। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব চুলেও পড়ে। চুলের জেল্লা হারিয়ে যায়। এমনকী সাময়িক সময়ের জন্যে প্রচুর পরিমাণে চুলও উঠতে পারে। এই সমস্য়ার শিকার যে কেবল মহিলারা, তা নয়। বর্ষাকালে পুরুষেরাও একই ধরনের সমস্য়ার ফাঁদে পড়েন। তাঁদেরও অতিরিক্ত পরিমাণে চুল ওঠে। তাই এই সময়ে পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই চুলের সঠিক যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বর্ষায় চুল পড়া প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। এর পিছনে দুটি কারণ রয়েছে –
১) বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
২) পুষ্টির ঘাটতি হয়।
আর্দ্রতা স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল বের করে দেয়। ফলে, স্ক্যাল্প রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং সহজেই ঝরে পড়ে। বর্ষাকালে চুল পড়া কমানোর জন্যে সঠিক যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। তাই নিয়মিত স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে হবে। আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ার ক্লিনজার বেছে নিন। তা দিয়ে আপনার স্ক্যাল্প এবং চুল পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে ২ দিন স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করুন। ১ দিন প্রোটিন হেয়ার প্যাক লাগান। চুল দীর্ঘক্ষণ ভেজা রাখবেন না। আর যদি কোনও সংক্রমণ চোখে পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চুলের প্রকৃত যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নজর দিতে হবে ডায়েটেও। আয়রন, জিংক এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট ফলো করতে হবে। বায়োটিন এবং জিংকের অভাবে কিন্তু চুল পড়া বাড়তে পারে। ডিম, মাছ এবং মাংসে এই দুই উপাদান পাবেন। চুল ভালো রাখতে এসব পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি পূরণ করুন।