পরিচালন সমিতিতে ফিরহাদকে চাইছেন যোগেশচন্দ্র কলেজের পড়ুয়ারা

সরস্বতী পুজো কাটার পরই একদিন আগেই যোগেশ চন্দ্র কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি বদল হয়েছে। মেয়র পারিষদ তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে সেই জায়াগায় আনা হয়েছে। আর এই বদল ঠিক মেনে নিতে পারছেন না কলেজের পড়ুয়ারা। তাই ল’ কলেজেও পরিচালন সভাপতির ফের বদল চাইছেন পড়ুয়ারা। যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের পড়ুয়াদের আস্থা এবার ফিরহাদ হাকিমে। ‘একজন মেয়ের বাবাই যন্ত্রণা বুঝবেন’, তাই মালা রায়ের জায়গায় একেবারে ফিরহাদ হাকিমকে পরিচালন সমিতিতে চান পড়ুয়ারা।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন মমতার কলেজের পড়ুয়ারা। কলেজের গেটে বিশাল ফেস্টুনে মমতার ছবিও লাগান ল’ কলেজের পড়ুয়ারা। যেখানে লেখা ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলেজের পড়ুয়া বনাম দুষ্কৃতী’। তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, এই কলেজেই সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর কম হয়নি। পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তপ্ত হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা। নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির।

এদিকে চাপানউতোরের মধ্যেই জল গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। শেষ পর্যন্ত কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যে হয় পুজো। পুজোয় মালা রায়কে সঙ্গে নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। সেই ফিরহাদকেই এবার পরিচালন সমিতির সভাপতির পদে চাইছেন পড়ুয়ারা। এক পড়ুয়া বললেন, ‘ল’ কলেজের পড়ুয়ারা বারবার বলছে গুন্ডাগিরি বন্ধ করতে হবে। এবার ডে কলেজে কী হয়েছে তা নিয়ে বেশি মন্তব্য করব না। কিন্তু, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন কলেজের ছাত্রছাত্রী। তাই আমরা চাইছি সব বিষয় যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উপর আস্থা আছে। বিশ্বাস আছে। উনি যাকে রাখবেন তাঁদের উপরেও আমাদের বিশ্বাস আছে।’

এ কথা বলার পরেও তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মমতার কাছে চিঠি পাঠাচ্ছি। আমরা বলছি আমাদের কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফিরহাদ হাকিমকে চাইছি। কারণ, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে একজন মেয়ের বাবাই বুঝতে পারবেন কী হতে পারে, কী না হতে পারে!’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + seventeen =