ফ্ল্যাট থেকে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম তনুশ্রী মাঝি। পেশায় বিউটিশিয়ান। দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানে স্বামী এবং চার বছরের কন্যাসন্তানকে থাকতেন তনুশ্রী। ফ্ল্যাটের নিচেই বিউটি পার্লার রয়েছে তাঁর। ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে থাকতেন তনুশ্রী। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, মহিলার স্বামী খুন করেছেন তাঁকে। নেতাজিনগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
এক প্রতিবেশীর দাবি, বুধবার সকালে মেয়েকে তাঁদের বাড়িতে দিয়ে যান। বিউটি পার্লার কর্মীর দাবি, ওই সময়ের মাঝে পার্লারে আসেন তনুশ্রী। ফোনে দীর্ঘক্ষণ ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। সম্ভবত স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এরপর ফ্ল্যাটে চলে যান। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পর মহিলার মেয়েকে ফ্ল্যাটে দিতে যান প্রতিবেশী। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল না। ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ঢেলে ভিতরে ঢোকেন প্রতিবেশী। ঘরে ঢুকে তাজ্জব হয়ে যান। দেখেন ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন বধূ। এরপর নেতাজি নগর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তনুশ্রীর দেহ উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় তনুশ্রীর বাপের বাড়িতেও। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তনুশ্রী এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত। তনুশ্রীকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি বাপের বাড়ির লোকজনের। বধূর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বধূর প্রতিবেশী এবং বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।