বেহালায় আক্রান্ত সুজয়কৃষ্ণের দাদা, পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের

বেহালার উত্তরসূরি ক্লাবের এক অভ্যন্তরীণ বৈঠককে কেন্দ্র করে সুজয়কৃষ্ণের দাদা অজয়কৃষ্ণের ওপর চড়াও হন ওই ক্লাবেরই অপর এক সদস্য রাজু দাস। তবে অজয়কৃষ্ণের ধারনা, প্রকাশ্যে ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জেরেই রবিবার তাঁর ওপর এই হামলা হয়। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র এও জানান, ‘যে মেরেছে সে বলেছে। আমার ওপর বহু রোষ আছে।’

গত ৩০ মে, গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। আর ভাই গ্রেফতার হতেই এক বেসরকারি চ্যানেলে ভাইয়ের কীর্তি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দাদা অজয়কৃষ্ণ। সেখানে সামনে আনেন বিস্ফোরক কিছু তথ্য। সুজয়কৃষ্ণর দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, ভাইয়ের অভ্যুত্থানের কাহিনি। সেই সঙ্গে এও দাবি করেন, তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্য়েই বাড়িতে আসতেন। অভিযোগ, ভাইয়ের বিরুদ্ধে এভাবে মুখ খোলায় তাঁর উপর অনেকেরই রোষ ছিল। যা চরম আকার নেয় গত রবিবার। বেহালা উত্তরসূরি ক্লাবের সদস্য অজয়কৃষ্ণ জানান, ওই দিনে ক্লাবের বৈঠকে একজনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এরপরই রাজু দাস তাঁর ওপর চড়াও হয়। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র এও জানান, ‘ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললাম বলেই আমায় এরকম করল। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। এবার তো মারা শুরু হয়ে গেল। মিথ্যা বললে হাজার বলতে হয় সত্যি একটাই। আমি সত্যি নিয়ে চলি। মরার আগে এভাবে কাপুরুষের মতো মরতে চাই না।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ এখনও বলছি ওর অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। আমি দুর্নীতিকে সাপোর্ট করিনি, করব না।’ একইসঙ্গে অজয়কৃষ্ণ এও জানান, তিনি আক্রান্ত হলেও, ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকেই ৭ দিনের জন্য সাসপেন্ড করে।

রবিবারের এই ঘটনার পর ক্লাবেরই এক সদস্য তাঁকে বেহালা বিদ্যাসাগর হসপিটাল ট্রিটমেন্ট এর জন্য নিয়ে যান অজয়কৃষ্ণকে। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই অভিযুক্ত রাজু দাসকে ক্লাবে কাজে রেখেছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকু। এই ঘটনার পরই পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অজয় কৃষ্ণ ভদ্র। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − twelve =