ইডি-র কাছে রুজিরাকে এয়ারপোর্টে আটকানোর কারণ জানতে চাইল শীর্ষ আদালত

কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের অনুমতিতে বিদেশ যাত্রা করে নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসার পরও কেন লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে, তা নিয়ে সোমবার প্রশ্ন তোলা হয় শীর্ষ আদালতের তরফে। একইসঙ্গে এ প্রশ্নও তোলা হয়, কেন রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানো হচ্ছে তা নিয়েও। এরই রেশ ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশ যাত্রা আটকানোর সম্ভাবনার আশঙ্কাও তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদের আইনজীবী কপিল সিব্বল।

প্রসঙ্গত, কয়লা কাণ্ডে ইডি-র মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে।তারই ভিত্তিতে ৫ জুন কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানো হয়।কলকাতা বিমানবন্দরে ক্লিয়ারেন্সের জন্য অভিবাসন দফতরে গেলে জানানো হয়, রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি থাকলে, সেই ব্যক্তি দেশ ছাড়তে চাইলে, অভিবাসন দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। সেই মতো রুজিরার ক্ষেত্রে অভিবাসন দফতরকে জানানো হয়েছিল। এরপরও কেন আটকানো হয়, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রুজিরা। এরপর তাঁকে ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথাও বলা হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল।

এই প্রসঙ্গে এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে শুনানির সময় নানা ঘটনা তুলে জানতে চান, আদালতের নির্দেশ নিয়েই রুজিরা বিদেশ যাচ্ছিলেন।এর আগেও গিয়েছেন। তবে এবার কেন তাঁকে আটকানো হল? এরই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত ইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, লুক আউট নোটিস জারি করার প্রয়োজনীয়তা কেন হল? কারণ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশে যাওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়ে দেশে ফেরত এসেছেন। অর্থাৎ তাঁরা কথার খেলাপ করেননি। সেক্ষেত্রে নতুন করে কেন লুক আউট নোটিস জারি করা হল?

এরই রেশ ধরে আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টিও আদালতে তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য ২৬ জুলাই বিদেশ যেতে চান অভিষেক। ৮ অগস্ট অপারেশনের জন্য বিদেশে তাঁর ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ রয়েছে। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 5 =