হাতে মাত্র ১১ দিন। এখনও কাটল না আধা সেনা জট। এরইমধ্যে চাপের কৌশল। বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র-কমিশনের নতুন তরজা। কেন্দ্রের যুক্তি, কোথায় কোন বাহিনী যাবে তার তালিকা জানাতে হবে কমিশনকে। অন্যদিকে কমিশনের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে , ইতিমধ্যেই কোন জেলায় কত বাহিনী যাবে তার তালিকা জানানো হয়েছে কেন্দ্রকে। এর পাশাপাশিঅতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। সূত্রে খবর, এর পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রও। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে এই বাহিনী কবে থেকে মোতায়েন হবে তা জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আরও একটা চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের দাবি, চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে, তা কোথায় কোথায় পাঠানো হবে? পাশাপাশি এও জানতে চাওয়া হয়েছে, কবে থেকে মোতায়েন করে এলাকা টহলদারির কাজ শুরু করবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী সে ব্যাপারেও। আর সামগ্রিক পরিকল্পনা কি পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে।
চিঠিতে এও বলা হয়েছে এই নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে, তাদের নোডাল অফিসারকে পুরো বিষয় বিস্তারিত জানাতে। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, যেহেতু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাহিনী এসে পৌঁছোবো বাংলায়, তাঁদের থাকার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে সে ব্যাপারেও। পাশাপাশি পরিবহণ সহ অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।
প্রসঙ্গত রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এমন কি বেশ কিছু জেলায় মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিনগুলোতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। বিরোধীদের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবি তোলা হয়। এমনকি বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গত মঙ্গলবার কমিশনের তরফে চিঠি দিয়ে ২২ টি জেলার জন্য ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। বাহিনী আনানো নিয়ে কমিশনের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপরই ফের ৮০০ কোম্পানি চাওয়া হয়। যদিও প্রথম চিঠির প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই ২২ কোম্পানি ফোর্স পাঠানো হয় মন্ত্রকের তরফে। তারা এসে পৌঁছায় গত শুক্রবার। এরপর শনিবার জেলাগুলোতে মোতায়েন করে শুরু হয়েছে টহলদারি। তবে পরবর্তী ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মোতায়েন কবে তা জানতে চেয়েই চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসারকে বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া হবে। ফলে আপাতত কবে এ রাজ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী আসবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।