খড়দহ ও দক্ষিণেশ্বর পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। দক্ষিণেশ্বর থানার ওসি এবং তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডায়েরি সহ সোমবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের তরফ থেকে। অন্যদিকে খড়দহ থানাকে ১৮ জুলাই থানার বেশকিছু দিনের সিসিটিভি ফুটেজ পেশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ৬ জুন রাতে দক্ষিণেশ্বরে দীপঙ্কর মিত্র নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে উদ্যোক্তারা। তিনি সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আলমারি থেকে জোর করে ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এমনকী দু’টি ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করিয়ে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরও করা হয়। অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করে প্রথমে তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। এরপর ছ’দিন পরে তারা অভিযোগ গ্রহণ করে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লঘু ধারা দেওয়া হয়। সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তারা দীপঙ্করের নামেই অভিযুক্তদের দিয়ে মামলা করিয়েছে। এদিকে মারধরের জেরে দীপঙ্করকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, থানায় কোনও ঘটনা ওসির অজ্ঞাতে ঘটে না। পুলিশের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে পুলিশের উপর খুবই বিরক্ত আদালত।
অন্যদিকে খড়দহে তদন্তের জন্য এক মহিলাকে বারবার থানায় ডেকে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় বসিয়েও রাখা হয়। এরপর থানার বিরুদ্ধে ওই মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হন। বুধবার মামলার শুনানিতে আদালত বলেছে, যে দিনগুলিতে ওই মহিলাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল, সেই দিনগুলির সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ ১৮ জুলাই আদালতে পেশ করতে হবে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত। আর অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলে ওই মহিলাকে আর্থিক জরিমানা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় আদালত।