কেন্দ্রের কাছে প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। সূত্রে এ খবরও মিলছে, জেলা পিছু ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রিকুইজিশনও পাঠানো হয়েছে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এক কোম্পানি সিএপিএফ-এর অর্থ ৯০ জন জওয়ান। সেক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ডিউটি করতে যাবেন ৭৫ জন। এই সংখ্যক জওয়ান দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রের আধা সামরিক বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব বাহিনী অর্থাৎ রাজ্য পুলিশও থাকবে ভোটে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার সময়েই সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিশের উপর ভরসার কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবেই। এরপর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, হানাহানি কঠোর হাতে রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়েই করতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। এরপর কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে প্রতিটি জেলার জন্য ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত তা কমে দাঁড়ায় ১-এ।