রাতের অন্ধকারে প্রহৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নিরাপত্তারক্ষী

রাতের অন্ধকারে মার খেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নিরাপত্তারক্ষী। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই কর্মীদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনায়  সরব হয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে যাদবপুর থানায়।

এদিকে সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে আসছিল একটি বাইক। অথচ সেখানে বোর্ডে লেখা, ১৫ কিমির বেশি গতিবেগে গাড়ি চালানো যাবে না। বাইককে থামানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী। তখন কিছুদূর গিয়ে বাইক থামিয়ে বাইকচালক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, এরপর আরও কয়েকজনকে ডাকেন। এদিকে মাঠের সামনে আউট পোস্টে ডিউটিরত নিরাপত্তারক্ষীর মারধরের খবর শুনে আরও দুই নিরাপত্তারক্ষী সেখানে যান। তাঁরাও সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হন।

এদিকে এই ঘটনায় স্বপন অধিকারী নামে এক কর্মী বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষী বাবলু ঘোড়ুই সেইসময় দায়িত্বে ছিলেন। একটি মোটরবাইক ৭০ কিমি বেগে আসছিল। বাইকটিকে থামানোর চেষ্টা করেন বাবলু। বাইকটি না থেমে চলে যায়। একটু দূরে বাইক থামিয়ে এসে আমাদের নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেন। তাঁকে বাঁচাতে গেলে আরও দুই নিরাপত্তারক্ষী মার খান।

ঘটনাটি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনেক রেসিডেন্সিয়াল কোয়ার্টার রয়েছে। সেখানে অনেকে থাকেন। তাঁদের আত্মীয় স্বজনদের আসাযাওয়া লেগেই থাকে। নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষে সবাইকে চেনা সম্ভব নয়।  যেসব কর্মীদের আত্মীয়রা এটা করেছেন, তাঁদের শোকজ করা হয়েছে।পাশাপাশি যাদবপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 10 =