রাজনীতি ছাড়তে চান তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত

তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো দিনের নেতা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ। কংগ্রেসে থাকাকালীন ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাইয়ের আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধিও হয়েছিলেন৷ এরপর যুব রাজনীতি থেকে উঠে এসে কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান হয়েছেন। সেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষই কসবায় নিজের বাড়ির সামনে আক্রান্ত হলেন৷ দু দুবার দুষ্কৃতীরা গুলি চালালেও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান।

এই ঘটনার পরই হতাশ তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, ‘এরপর আর রাজনীতি করব কি না ভাবতে হবে৷ আমি আতঙ্কিত নই, কিন্তু নিজের বাড়ির সামনে এ ভাবে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হবে, এটা ভেবেই আমি ব্যথিত। এই ওয়ার্ডটা তো আমার নিজে হাতে তৈরি করা৷ যা দেখছি, এরপর তো আর রাজনীতি করার কথা ভাবতে পারব না।’ সুশান্ত ঘোষ ২০১০ সালে কাউন্সিলর হন এই ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই৷ পরবর্তী সময়ে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে৷ পর পর তিন বার ওই এলাকা থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সুশান্ত ঘোষ।

এদিন রাত ৮.১০ মিনিট নাগাদ কসবায় অ্যাক্রোপলিস মলের কাছে নিজের বাডির সামনে ফুটপাথের উপরে বসেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকুমার ঘোষ৷ আচমকাই দুই যুবক সেই সময় স্কুটি করে সেখানে আসে৷ এর পর স্কুটি থেকে নেমে এক যুবক সরাসরি সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে৷ একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷ বন্দুক লক হয়ে যাওয়ায় এর পর আর গুলি বেরোয়নি৷

এর পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর সময় এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র৷ অন্য এক দুষ্কৃতী অবশ্য ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি বিহারের বৈশালী এলাকায়৷ সুশান্ত ঘোষের দাবি, ধৃত দুষ্কৃতী প্রাথমিক ভাবে জানায়, তারা তাঁকে চেনে না৷ তাঁর ছবি দিয়ে তাঁকে প্রাণে মারার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে কসবায় অ্যাক্রোপলিস মলের সামনে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা৷ যদিও সুশান্ত ঘোষের দাবি, এর পিছনে রাজনৈতিক শত্রুতা নয়, বরং অন্য কোনও বড় মাথা রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =