বাংলায় কাজের জন্য শান্তির পরিবেশ রয়েছেঃ সঞ্জীব পুরী

বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সূচনা হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। বঙ্গে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে গোটা দেশের নামীদামি শিল্প সংস্থার কর্তারা আসছেন কলকাতায়। ‘বেঙ্গল মিনস বিজনেস’-এই থিমকে সামনে রেখেই হচ্ছে এবারের শিল্প সম্মেলন।

এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন আইটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরী, তিনি বলেন, ‘খবরের কাগজের প্রথম পাতার বিজ্ঞাপন দেখে চমকে উঠতে হয়। গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে বাংলা। রাজ্যের উন্নয়ন ও সেই সঙ্গে জোড়া বেনিফিট দেখা যাচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে ভাইব্রান্ট শিল্পক্ষেত্র। আমাদের সংস্থার হেডকোয়ার্টার এখানে। আমরা যে রেসপন্স পাই তা অসাধারণ। সরকারের পলিসি এখন যথেষ্ট ভালো। কলকাতাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে উল্লেখ করে সঞ্জীব পুরী বলেন, ‘রাজ্যে এখন শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। শিল্পবান্ধব নীতিও নিয়েছে সরকার। আমাদের সংস্থার হেড কোয়ার্টার কলকাতায়।’ ফলে এই রাজ্যে আরও কাজ করতে তাঁরা মুখিয়ে রয়েছেন বলে জানান সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, ‘সর্বভারতীয় সংস্থা হওয়ায় দেশের যেকোনও প্রান্তেই বিনিয়োগ করতে পারি আমরা। কিন্তু, আমাদের সংস্থা সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে বাংলায়। আমরা এখানে কাজ করছি। ক্রেতাদের কথা ভাবে। এখানে কাজের জন্য শান্তির পরিবেশ রয়েছে। এখানে আমরা বিনিয়োগ করেছি। হোটেল, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এখানে কাজ করি।’ এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এই রাজ্যে আমাদের ১৮টি ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি রয়েছে। একাধিক হোটেল রয়েছে। সম্প্রতি বাংলায় ৭৫০০ কোটি বিনিয়োগ করেছে আইটিসি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাব হতে চলেছে বাংলা। ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ইন এআই’-রাজারহাটে রয়েছে। এখন গোটা বিশ্ব এই এআই এর দিকে চেয়ে।’ সঙ্গে এও জানান, আগামী দু’বছরে আমাদের হোটেলের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘হসপিটালিটি সেক্টরে বড় সুযোগ রয়েছে বাংলায়। আমরা এখন ৬টি হোটেল চালাচ্ছি। আগামী দিনে সেটা দ্বিগুণ হতে চলেছে। কৃষিতেও আমরা বিনিয়োগ করেছে। কৃষিতে এখন ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

রাজ্যের প্রশংসা করে আইটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামাজিক উন্নয়নেও জোর দিয়েছে রাজ্য। যা সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কন্যাসন্তানদের জন্য রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। আর সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিমার জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এরকম আরও অনেক রয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে বাংলার ছবি বদলে গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 18 =