সিঙ্গল বেঞ্চে সন্দীপদের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ। বিচারপতির স্পষ্ট যুক্তি, হাইকোর্ট কোনওভাবেই জুডিশিয়াল অর্ডার পরিবর্তন করতে পারে না। ফলে অস্বস্তি কিছুতেই কাটছে না সন্দীপ ঘোষের। কারণ, আদালতে আবেদন-নিবেদনেও কাজ হল না কিছুই। বরং আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, সন্দীপ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জ ফ্রেম করতে বাধা নেই।
এদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, সময় নষ্ট করতেই এই মামলা করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার পর আবার কিসের পুনর্বিবেচনা তা নিয়েও। যদিও সন্দীপ থেকে সুমন হাজরার আইনজীবীদের দাবি, আইনত অন্তত ষাট দিন পাওয়া উচিত। হাইকোর্ট অভিযুক্তদের বক্তব্য না শুনেই নির্দেশ দিয়েছে। সে কারণেই তাঁরা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে এদিন বেশ কিছুক্ষণ আদালতে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে। সূত্রের খবর, তখনই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, জুডিশিয়াল অর্ডারে থাকলে হাইকোর্ট কী করতে পারবে! যদিও পাল্টা আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্যরা পাল্টা তাঁদের যুক্তি সামনে আনেন।
এরপরই বিচারপতির উদ্দেশ্যে তাঁরা বলে ওঠেন, ‘আপনার নির্দেশে জুডিশিয়াল নির্দেশ এসেছে। সবার স্বচ্ছ ট্রায়ালের অধিকার আছে। সিবিআই নিজেই সব জমা দিতে পারবে না।’ যদিও সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থানেই অনড় থাকতেই দেখা যায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি চাইতে দেখা গিয়েছিল আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এর আগে তিলোত্তমার খুন ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রেও একই দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও মঙ্গলবার আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন বুধবারের মধ্যেই এই মামলায় চার্জ ফ্রেম করতে হবে। তবে যাঁরা অব্যাহতি চাইবেন তাঁদের আবেদনের রাস্তা খোলা থাকছে। তারপরই সন্দীপ-সহ পাঁচ জন্য অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। সন্দীপে আইনজীবীদের দাবি ছিল প্রায় প্রায় ২৫ হাজার পাতার নথি সিবিআই দিয়েছে। যার সব এখনও খতিয়েই দেখা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই পূর্বের নির্দেশ যাতে পুনর্বিবেচনা করা হয় সেই দাবি করেছিলেন তাঁরা।