বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের অষ্টম বছরে চলতি দশকের মধ্যে বাংলায় বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গেল রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে। একই সঙ্গে বাংলা ছেড়ে চলে যাওয়া দক্ষ, শিক্ষিত কর্মীদের ঘরে ফিরিয়ে আনার আশা নিয়ে নয়া প্রজেক্ট শুরুর কথাও জানালেন মুকেশ। অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলার জন্য এ দিন মুকেশ আম্বানির ঝুলিতে ছিল একাধিক ঘোষণা। তিনি জানালেন, গত এক দশকে ২ হাজার কোটি টাকা থেকে বাংলায় রিলায়েন্সের বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আগামী দশকে তা আরও দ্বিগুণ হবে ও তৈরি হবে আরও এক লাখ চাকরির সুযোগ। এরই পাশাপাশি রিলায়েন্স-কে বাংলার বিশ্বস্ত বন্ধু বলেও ব্যাখ্যা করেন সংস্থার কর্ণধার মুকেশ।
বাংলার হস্তশিল্প ও বাংলার শাড়িকে বিশ্বের আরও কাছে পৌঁছে দিতে নয়া প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা রিলায়েন্স কর্ণধারের। তিনি জানান, শীঘ্রই লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিসে ‘স্বদেশ’ স্টোর খুলতে চলেছে রিলায়েন্স। সেখানে বাংলার জামদানি, বালুচরি, তাঁত, কাঁথা শাড়ি, মসলিন, বিষ্ণুপুরী সিল্ক, তসর সিল্ক,বিষ্ণুপুরী সিল্ক, তসর সিল্ক, মুর্শিদাবাদ সিল্ক এবং জুট ও খাদির পণ্য রাখা হবে। একইসঙ্গে এফএমজিসি সেক্টরে শীঘ্রই স্টেক বাড়াতে চলেছে রিলায়েন্স। তাঁরই ধাপ হিসেবে বাংলার বেশ কিছু খাদ্যপণ্য সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপও করছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। এই সমস্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে বিদেশের মাটিতে রিলায়েন্স ‘স্বদেশ’ স্টোরে।
বাংলার জন্য জিও-কে নিয়েও বড় পরিকল্পনা রয়েছে মুকেশ আম্বানির। কলকাতায় জিও-এর এআই ডেটা সেন্টার তৈরির কথাও ঘোষণা করেন রিলায়েন্স কর্তা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উৎকর্ষ মেধার জায়গা বাংলা। এয়ার ফাইবার, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে আরও আধুনিক হয়ে উঠবে এই রাজ্য। আমার আশা, এই পরিকাঠামো বাংলা ছেড়ে যাওয়া দক্ষ, প্রতিভাদের ফের নিজের মাটিতেই ফিরিয়ে আনবে। বাংলায় তৈরি হবে আরও কাজের সুযোগ।’ দিঘায় বাংলার প্রথম কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মুকেশ। এ ছাড়াও রিলায়েন্স রিটেল স্টোরের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুকেশ আম্বানি। তিনি বলেন, বাংলায় ১৩০০ থেকে আগামী দিনে রিলায়েন্স রিটেল-এর সংখ্যা বেড়ে হবে ১৭ হাজার। এতে নিউ কমার্স, এক্সপ্রেস ডেলিভারি পরিষেবায় খুচরো ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।